নারায়ণগঞ্জের মেধাবী শিক্ষার্থী তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যায় জড়িতদের প্রশাসন নিরাপত্তা দেয় বলে মন্তব্য করেছেন ত্বকীর বাবা ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রফিউর রাব্বি।
শনিবার সন্ধ্যায় নগরীর আলী আহাম্মদ চুনকা নগর মিলনায়তন প্রাঙ্গণে ত্বকী হত্যা ও “বিচারহীনতার” ১২৪ মাস উপলক্ষে সাংস্কৃতিক জোটের আয়োজিত আলোক প্রজ¦ালন কর্মসূচিতে তিনি এ মন্তব্য করেন। কর্মসূচিতে অংশ নেন কবি, সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মীসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
সংগঠনের সভাপতি ভবানী শংকর রায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, ত্বকীর বাবা সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রফিউর রাব্বি, খেলাঘর কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি রথীন চক্রবর্তী, সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের সদস্য সচিব কবি হালিম আজাদ, মানবাধীকার কর্মী এড. মাহাবুবুর রহমান মাসুম, সাংস্কৃতিক জোটের সাবেক সভাপতি এড. প্রদীপ ঘোষ বাবু, গণসংহতি আন্দোলনের জেলা সমন্বয়ক তরিকুল সুজন ও চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের জেলা সভাপতি প্রবীর সরকারসহ আরও অনেকে।
রফিউর রাব্বি বলেন, “ত্বকীর ঘাতকরা আইনের আওতায় আসে না, কারণ প্রশাসন তাদের নিরাপত্তা দেয়। সরকার দুর্বৃৃত্ত রক্ষার রাজনীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছে।” তিনি ত্বকী সহ সাগর-রুনী, তনু ও নারায়ণগঞ্জের আশিক, চঞ্চল, মিঠু ও ভুলু হত্যার বিচার দাবি করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে হালিম আজাদ বলেন, আপনি বলেছিলেন কারা ত্বকীকে হত্যা করেছে আপনি সব জানেন। তা হলে কেন বিচারটা করছেন না?। আমরা ত্বকী হত্যার বিচার চাই।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ৬ মার্চ নগরীর শায়েস্তা খাঁ সড়কের বাসা থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হয় তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী। এর দু’দিন পর ৮ মার্চ শীতলক্ষ্যা নদীর কুমুদিনী খাল থেকে ত্বকীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই বছরের ১২ নভেম্বর আজমেরী ওসমানের সহযোগী সুলতান শওকত ভ্রমর আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। ২০১৪ সালের ৫ মার্চ তদন্তকারী সংস্থা র্যাব সংবাদ সম্মেলন করে জানায়,ওসমান পরিবারের নির্দেশে টর্চারসেলে ১১ জন মিলে ত্বকীকে হত্যা করা হয়। অচিরেই তারা অভিযোগপত্র আদালতে পেশ করবেন। কিন্তু সে অভিযোগপত্র আজো আদালতে পেশ করা হয় নাই। ত্বকী হত্যার পর থেকে বিচার শুরু ও চিহ্নিত আসামীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে প্রতি মাসের ৮ তারিখ আলোক প্রজ্বালন কর্মসূচি পালন করে আসছে নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোট।