মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের কারণে মৃত্যুশঙ্কা নিয়ে ক্রোয়েশিয়ার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল নেদারল্যান্ডের কিংবদন্তি গোলরক্ষক এডউইন ফন ডার সারকে। পরবর্তীতে তাকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা বিভাগে (আইসিইউ) ভর্তি করা হয়। তবে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতা এই গোলরক্ষককে নিয়ে শঙ্কা মোটামুটি কেটে গেছে। যদিও এখনও আইসিইউতেই আছেন ডার সার। তার স্ত্রী অ্যানমেরি ভ্যান কেস্টরেন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তার সর্বশেষ অবস্থা নিয়ে ডাচ ক্লাব আয়াক্স বিবৃতিতে বলছে, ‘এডউইন এখনও নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) আছে কিন্তু তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। তার প্রাণ নিয়ে এখন শঙ্কার কিছু নেই। সে আমাদের (পরিবার) সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছে। কতটা উন্নতি করে, সেটাই এখন ধৈর্য ধরে দেখতে হবে।’
এর আগে ক্রোয়েশিয়ায় ছুটি কাটাতে গিয়ে ৭ জুলাই হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়েন ডার সার। পরবর্তীতে ৫২ বছর বয়সী এই গোলরক্ষককে হেলিকপ্টারে করে দ্রুতই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অল্প সময় পরেই অবশ্য তার অবস্থা স্থিতিশীল হয়ে আসে। নেদারল্যান্ডের হয়ে ১৩০টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা ডার সার পরবর্তীতে দেশীয় ক্লাব আয়াক্সের প্রধান নির্বাহীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তার অসুস্থতার শুরু থেকেই তার অবস্থা জানিয়ে আসছিল ক্লাবটি।
২০০৯ সাল পর্যন্ত আয়াক্সের নির্বাহী প্রধানের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। তবে ওই বছরই ডাচ লিগে তৃতীয় স্থানে বিদায়ের পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগে কোয়ালিফাই করতে ব্যর্থ হয় আয়াক্স। এরপরই ফন ডার সার পদত্যাগ করেন। এর আগে ২০১১ সালে ম্যানইউর হয়ে সর্বশেষ খেলেছিলেন এই কিংবদন্তি গোলরক্ষক। ডার সার ইউনাইটেডের হয়ে ২৬৬ ম্যাচ খেলেছিলেন। রেড ডেভিলদের তিনটি প্রিমিয়ার লিগ ও ২০০৮ সালে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিততে দুর্দান্ত ভূমিকা রাখেন তিনি। এছাড়া তিনি প্রিমিয়ার লিগে ফুলহাম ও সিরি ‘আ’য় খেলেছেন জুভেন্টাসের হয়ে।
পরবর্তীতে ২০১২ সালে তিনি আয়াক্সের বোর্ডে যুক্ত হন এডউইন। এরপর২০১৬ সালে তিনি ক্লাবটির প্রধান নির্বাহীর দায়িত্ব নেন।
তার স্ত্রী অ্যানমেরিও ২০০৯ সালে স্ট্রোকের শিকার হয়েছিলেন। পরে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠেন তিনি। স্ত্রীর স্ট্রোকের পর নিজের ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণজনিত মারাত্মক সমস্যায় ভোগা মানুষদের চিকিৎসায় সাহায্য করে আসছিলেন ফন ডার সার। এরপর তিনি নিজেও ওই রোগের শিকার হলেন।