বাংলাদেশের সিংহভাগ সাংবাদিক বিশেষ করে মফস্বল এলাকার সাংবাদিকরা পরিচয়হীনতায় ভুগছেন বলে আক্ষেপ করেছেন বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. নিজামুল হক নাসিম।
রোববার (২০ আগস্ট) ঠাকুরগাঁও সার্কিট হাউসের সম্মেলন কক্ষে জেলায় কর্মরত সাংবাদিকদের নিয়ে অনুষ্ঠিত ‘প্রেস কাউন্সিল আইন, আচরণবিধি ও সাংবাদিকতার নীতিমালা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল এ সেমিনারের আয়োজন করে।
তিনি বলেন, মফস্বল এলাকাসহ সারা দেশে প্রায় ৫০ হাজার সাংবাদিক আছেন। এই সাংবাদিকদের ডেটাবেজ তৈরির কাজ চলমান রয়েছে। এ ডেটাবেজ তৈরির জন্য আমরা প্রত্যেক জেলা প্রশাসকদের চিঠি দিয়েছি। এক্ষেত্রে সাংবাদিকদের শিক্ষাগত যোগ্যতাসহ বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে যাচাই-বাছাই শেষে বার কাউন্সিলের মতো আমরা প্রকৃত সাংবাদিকদের সনদ দেব।’
বিচারপতি মো. নিজামুল হক নাসিম আরও বলেন, আমরা যে ডেটাবেজ তৈরি করছি তাতে শুধু সনদধারীরাই নিজেদের সাংবাদিক পরিচয় দিতে পারবেন। আর এতে ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা ধরা হয়েছে স্নাতক ডিগ্রি পাস। তবে অভিজ্ঞতার ক্ষেত্রে পাঁচ বছরের সাংবাদিকতার অভিজ্ঞতাসম্পন্নদের শিক্ষাগত যোগ্যতার এই শর্ত কিছুটা শিথিল থাকবে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ১৯৭৪ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল আইন প্রণয়ন করেন। এ আইনটি নতুন করে চূড়ান্ত করা হয়েছে। সংসদে পাস হওয়ার অপেক্ষায় আছে। কমিটির সদস্য সাংবাদিকরা যারা সুপারিশ করেছিলেন এখন তাদের মধ্যে কেউ কেউ এই আইনের বিরোধিতা করছেন। আগে সাংবাদিকদের নামে প্রেস কাউন্সিলে মামলা হলে সেখানে রায়ে শুধু তিরস্কারের বিধান ছিল। এখন সেটি সংশোধিত হয়ে পাঁচ লাখ টাকার জরিমানার বিধান সংযুক্ত করা হয়েছে। সুয়োমোটো করার বিধানও রাখা হয়েছে।
সেমিনারে মূল আলোচক ছিলেন বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার। সেমিনারে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রাম কৃষ্ণ বর্মণ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার লিজা বেগম।