দিনের শেষে উসমান খাজার কল্যাণে দেখা মিললো অদ্ভূত সুন্দর এক দৃশ্যেরও। ছোট্ট মেয়েকে নিয়েই সংবাদ সম্মেলনে চলে আসেন অস্ট্রেলিয়ান তারকা।
শুরুতেই মেয়েকে নিয়ে আসার কারণটা জানিয়ে দেন খাজা। বলেন, ‘ও আমার থেকে দূরে থাকতে চায় না, তো…’ সঙ্গে জানান, নিশ্চিত নন কতক্ষণ থাকতে পারবেন, যেহেতু মেয়ে আয়েশা তার কোলে বসা। পরে তাকে নিয়েই পুরো সংবাদ সম্মেলন শেষ করেন খাজা। মাঝেমধ্যে তার মেয়ে অডিও রেকর্ডিংয়ের জন্য রাখা ফোন ধরছিলেন, তখন সামলাতে হচ্ছিল মেয়েকেও।
এজবাস্টনে দ্বিতীয় দিনের শেষে খাজা অপরাজিত থাকেন ১৪ চার ও দুটি ছক্কায় ২৭৯ বলে ১২৬ রানে। নিজের শতরান পূরণের পর প্রায় ত্রিশ গজ দৌড়ে যান খাজা। এরপর তিনি ব্যাট ছুড়ে মারেন বাতাসে। কেন এমন উদযাপন? দিনের শেষের সংবাদ সম্মেলনে সেটি জানান তিনি।
খাজা বলেন, ‘আমার মনে হয় এটা ইংল্যান্ডে হওয়া তিনটা অ্যাশেজের মধ্যে দুটিতেই বাদ পড়ার প্রতিক্রিয়া। আমি খবর পড়ি না। আমি আসলেই খবর পড়ি না কিন্তু যখন দর্শকদের পাশ দিয়ে যাই অথবা আসি, নেটে যাই, তখন দেখি বলা হয় আমি নাকি ইংল্যান্ডে রান করতে পারবো না। এটা স্বাভাবিকের চেয়ে একটু বেশি আবেগী উদযাপন ছিল এজন্য। ’
‘মনে হচ্ছে একই ব্যাপার সবসময় বলে এসেছি, একই কথা ভারতের ব্যাপারে বলা হয়েছে। এমন না আমার কোনো বিষয় প্রমাণ করার আছে। কিন্তু ওখানে যাওয়া আর অস্ট্রেলিয়ার হয়ে রান করে শুধু দেখিয়ে দেওয়া যে শেষ ১০ বছর ফ্লুক ছিল না। ’
বিশ্ব ক্রিকেটেই বাজবল নিয়ে আলাপ হচ্ছে অনেক। ইংল্যান্ডের কাছে এখন জয়ের চেয়ে মুখ্য খেলার ধরণ। খাজা অবশ্য এটাতে বিশ্বাস করেন না। তিনি বলছেন, ম্যাচশেষের পর কেউই দেখবে না কীভাবে জয় এলো। যদিও ইংল্যান্ডের খেলার ধরণ উপভোগ করছেন বলে জানান খাজা।
অজি ব্যাটার বলেন, ‘গতকাল তারা যেভাবে ব্যাটিং করেছে সেটি ছিল মজার, এমনকি আমার মতো মাঠে থাকা একজনের জন্যও। কিছু শট সত্যিই অনেক মজার ছিল। জো রুটের রিভার্স ল্যাপ, ব্রুকের এগিয়ে এসে কাভারের ওপর দিয়ে ছক্কা মারা। এটা দেখার জন্য দারুণ। আমি বুঝতে পারছি মানুষ এটা দেখে উপভোগ করছে কিন্তু কীভাবে আপনি জিতলেন তাতে কিছু যায় আসে না টেস্টে, এখানে জয়টাই মুখ্য