আক্রমণাত্মক ফিল্ড সেটা-আপেই আফগানিস্তানকে কাবু করছে বাংলাদেশ। তবে পঞ্চম উইকেট জুটিতে পাল্টা আক্রমণ করে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টায় ছিল আফগানরা। ওভারপ্রতি রান তুলছে চারেরও বেশি করে। নাসির জামালকে ফিরিয়ে সেই জুটি ভাঙেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তাতে ফলোঅনের শঙ্কায় রয়েছে তারা। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সফরকারীদের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১১৬ রান।
এর আগে প্রথম ইনিংসে ৩৮২ রানে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ। ৫ উইকেটে ৩৬২ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন শুরু করে টাইগাররা। মুশফিকুর রহিম ও মেহেদী হাসান মিরাজ দুজনেই ছিলেন হাফ সেঞ্চুরির কাছাকাছি। কিন্তু কেউই করতে পারেননি সেটি।
প্রথমে আউট হন মিরাজ। ৮ চারে ৮০ বলে ৪৮ রান করে আউট হন তিনি। ইয়ামিন আহমেদ জাইয়ের বলে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট অঞ্চলে আমির হামজা হোতাকের হাতে ক্যাচ তুলে দেন মিরাজ। এরপরের লড়াইটা ছিল মুশফিকুর রহিমের জন্য।
কিন্তু এই ব্যাটারও পারেননি টিকে থাকতে। তার ব্যাটের কানায় লেগে বল স্লিপে গেলে আউট হয়ে যান নিজাত মাসুদের বলে। ৪ চারে ৭৬ বলে ৪৭ রান করে সাজঘরে ফেরত যান তিনি।
মুশফিকের বিদায়ের পর বাংলাদেশের অলআউট হওয়া ছিল স্রেফ সময়ের ব্যাপার। টেল-এন্ডাররা বেশিক্ষণ থাকতেও পারেননি। ৭ বলে ২ রান করে তাসকিন আহমেদ ও ১১ বলে ৬ রান করে শরিফুল কিছুক্ষণ চেষ্টা করেন।
কিন্তু দ্বিতীয় দিনে ২০ রানের ভেতরই অলআউট হয়ে যায় স্বাগতিকরা। আফগানিস্তানের পক্ষে ১৬ ওভারে ২ মেডেনসহ ৭৯ রান দিয়ে পাঁচ উইকেট নেন মাসুদ। ১৬৭তম বোলার ও আফাগানিস্তানের দ্বিতীয় বোলার হিসেবে অভিষেকেই ফাইফার নেওয়ার কীর্তি গড়লেন তিনি।
পরে ফিল্ডিংয়ে নেমে ষষ্ঠ ওভারেই উইকেটের দেখা পায় বাংলাদেশ। শরিফুলের বলে উইকেটে পেছনে লিটন দাসকে ক্যাচ দেন ইব্রাহিম। ব্যক্তিগত ৬ রানে ফেরেন এই ব্যাটার। এর আগে শরিফুলের বলেই তাকে জীবন দেন লিটন। এরপর নিজের প্রথম ওভারে এসেই উইকেটের দেখা পান এবাদত। তার লাফিয়ে উঠা বলে স্লিপে থাকা জাকির হাসানের হাতে ক্যাচ দেন আব্দুল মালিক। দারুণ বল করতে থাকা এবাদত তৃতীয় ওভারেও পান উইকেটের দেখা। ডানহাতি এই পেসারের শর্ট বলে কুপোকাত হয়ে তাসকিন আহমেদকে ক্যাচ দেন রহমত শাহ। ৯ রানে ফেরেন তিনি। এরপরই লাঞ্চের সংকেত দেন আম্পায়াররা।
লাঞ্চ থেকে ফিরে দ্রুতই আফগান অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহীদিকে ফেরান শরিফুল ইসলাম। বাউন্সার সামাল দিতে না পেরে মিরাজের হাতে ক্যাচ তুলে দেন ৯ রান শহীদি। ৫১ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে থাকার কথা আফগানদের। তবে সেই চাপ দূর করতে পাল্টা আক্রমণ শুরু করেন নাসির ও আফসার। পঞ্চম উইকেটে ৬৫ রান করেন তারা। নাসিরকে ৩৫ রানে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে বাংলাদেশকে ব্রেক থ্রু এনে দেন মিরাজ। এরপর ৩৬ রান করা আফসারকে নিজের তৃতীয় শিকারে পরিণত করেন এবাদত।