রাজবাড়ীর পাংশায় প্রায় ৬৩ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি নির্মাণাধীন সেতু ভেঙে পড়েছে। মঙ্গলবার (৬ জুন) সন্ধ্যায় উপজেলার মাছপাড়া ইউনিয়নের মেঘনা বাজার সংলগ্ন খালের ওপর নির্মাণাধীন সেতুর পাটাতন ঢালাইয়ের সময় এ ঘটনা ঘটে। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
নির্মাণাধীন সেতু এভাবে ভেঙে পড়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন এলাকাবাসী। তাদের দাবি, নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে তড়িঘড়ি কাজ করার ফলে এমন ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে তড়িঘড়ি করে কাজ করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। কাজের শুরু থেকে নানা অনিয়ম করা হচ্ছে। কাজ চলাকালে তদারকির অনেক অভাব ছিল। অথচ এখন হঠাৎ সেতুটি যখন ভেঙে পড়েছে, তখন বড় বড় অফিসার আসছেন। এখন আবার ভেঙে পড়া সেতুর কাজ তড়িঘড়ি করে সংস্কার করা হচ্ছে। এতে কাজের মান কেমন হবে তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।
পাংশা উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জাকির হোসেন বলেন, সেতুটির দুইটি পাটাতন (স্ল্যাব) করা হয়েছে। এর মধ্যে সেতুর একটি পাটাতন ঢালাইয়ের কাজ শেষে হয়েছে। কিন্তু আর একটি পাটাতন ঢালাইয়ের জন্য দোতলা মাচা পাতা হয়। ঢালাইয়ের কাজ শুরু করা হলে স্ল্যাবের ঢালাইসহ মাচা ভেঙে পড়ে। এটি একটি নিছক দুর্ঘটনা মাত্র।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক দুলাল হাজী বলেন, কাজটি মূলত আমার না। এটা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি কামাল আল মামুনের। আমার রড-সিমেন্টের দোকান আছে,আর ওই সেতুর যত রড-সিমেন্ট সব আমি দিয়েছি। কামাল ঢাকায় থাকায় আমি গতকাল ঘটনাস্থলে যাই লেবারদের পেমেন্ট দিতে। মিস্ত্রিদের ভুলের কারণে হঠাৎ ঢালাইয়ের সময় পাটাতন ভেঙে যায়। স্থানীয় লোকজন আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে আমার মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে।