মূলত পেস বোলার হিসেবেই পরিচয় শট অ্যাবটের। টি-টোয়েন্টিতে যার সর্বোচ্চ ইনিংস ৪১ রানের। কিন্তু টি-টোয়েন্টি ব্লাস্টে সেই ব্যাট হাতেই ইতিহাস গড়ে ফেললেন এই অজি ক্রিকেট তারকা। টুর্নামেন্টের ইতিহাসে দ্রুততম সেঞ্চুরির কীর্তিতে নাম লিখিয়েছেন তিনি।
২০০৪ সালে কেন্টের জার্সিতে ৩৪ বলে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে ইতিহাস গড়েছিলেন প্রয়াত অলরাউন্ডার অ্যান্ড্রু সাইমন্ডস। এবার সেই কীর্তিতে ভাগ বসালেন তারই স্বদেশী অ্যাবট।
অথচ ৭৬ ইনিংসে তার ব্যাটিং গড় ছিল মাত্র ১০.৯১। ফলে তার ব্যাটে এমন ঝড় হয়তো কেউ কল্পনাতেও আনেনি। সারে যখন ৬৪ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল, তখন ক্রিজে নেমে ম্যাচের মোড়টাই ঘুরিয়ে দেন অ্যাবট। ২২ বলে হাঁকান ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি।
এরপর ৩৪ বলে সেঞ্চুরি হাঁকানোর পর ১১০ রানে অপরাজিত থাকেন অ্যাবট। ৪১ বলের ইনিংসটি ১১ ছক্কায় সাজানো। মাঠের সব প্রান্তেই বল পাঠিয়েছেন তিনি। এর মধ্যে ১৭তম ওভারে কেন রিচার্ডসনের ছয় বলে নেন ৩০ রান। এরপর মাইকেল হোগানের বলে পর পর দুই ছক্কায় তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করেন অ্যাবট।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সবচেয়ে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড অবশ্য এখনও ক্রিস গেইলের দখলে। ক্যারিবীয় ব্যাটিং দানব আইপিএলে মাত্র ৩০ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন। স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে এখনও এটাই সবচেয়ে দ্রুততম সেঞ্চুরি। এছাড়া ৩২ বলে সেঞ্চুরির কীর্তি রয়েছে ভারতীয় ব্যাটার ঋশভ পন্থ এবং সাউথ আফ্রিকার ব্যাটার উইহান লুবের ৩৩ বলে সেঞ্চুরি রয়েছে।
অ্যাবটের টর্নেডোতে ভর করে ৫ উইকেটে ২২৩ রান সংগ্রহ করে স্বাগতিক সারে। জবাবে ড্যানিয়েল বেল-ড্রামন্ড এবং তাওয়ান্ডা মুয়েয়ের ওপেনিং জুটিতেই ১০৮ রান তুলে ফেলে কেন্ট। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেট হারিয়ে ১৮২ রান তুলতে পারে সফরকারীরা।