অভ্যন্তরীণ বিরোধের কারণে জাতীয় শ্রমিক লীগের কমিটি ভেঙে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। আজ বিরোধ মিটিয়ে এক মঞ্চে সংগঠনটির দুই নেতার হাত ধরে মিলিয়ে দেন তিনি।
সোমবার (১ মে) রাজধানীর ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে জাতীয় শ্রমিক লীগের আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দিতে এসে দুই নেতার হাত মিলিয়ে দেন ওবায়দুল কাদের।
তখন তিনি শ্রমিক নেতাদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আজ নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রেখেছে। অনেকে বলে শ্রমিক লীগ এক হবে না। আজ মে দিবসে শ্রমিক লীগ এক হয়েছে। তাদের ধন্যবাদ জানাই। শ্রমিক লীগ আজ ঐক্যবদ্ধ। এই ঐক্যে যেন চিড় না ধরে। এই ঐক্য আরও দৃঢ় করতে হবে।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বক্তব্য দেওয়ার সময় জাতীয় শ্রমিক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নূর কুতুব আলম ও সাধারণ সম্পাদক আযম খসরু ডায়াসের দুই পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বক্তব্যের শেষ মুহূর্তে তাদের হাত ধরে মিলিয়ে দেন।
এসময় ওবায়দুল কাদের জাতীয় শ্রমিক লীগকে দীর্ঘ দিনের ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে এক হয়ে যেতে বলেন। দ্বন্দ্ব ভুলে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
নেতাকর্মীদের সতর্ক করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মানুষের সঙ্গে ভালো আচরণ করতে হবে। তারা তাৎক্ষণিকভাবে হয়ত কিছু বলবে না, তবে ভালো আচরণ না করলে এ দেশের জনগণ ব্যালটের মাধ্যমে জবাব দেবে। শেখ হাসিনা কাউকে রেহাই দেবেন না। জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্যতা না থাকলে নমিনেশন দেবেন না।
জনপ্রিয়তা নেই এমন কাউকে আওয়ামী লীগ মনোনয়ন দেবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্যতা নেই এমন কাউকে নমিনেশন দেওয়া হবে না। অর্থ পাচারকারী, লুণ্ঠনকারী, বিতর্কিত লোকের আওয়ামী লীগে স্থান নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের পতাকা সমুন্নত রাখা হবে। এজন্য সকল নেতাকর্মী ঐক্যবদ্ধ হয়ে থাকতে হবে। এখন থেকেই মাঠে থাকতে হবে নেতাকর্মীদের।
জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি নূর কুতুব আলম মান্নানের সভাপতিত্বে সমাবেশ সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক আযম খসরু। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন।
উপস্থিত ছিলেন মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুল রহমান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নুর তাপস, যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামশ পরশ, সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল প্রমুখ।