নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার একটি শো রুমে বিস্ফোরণের ঘটনায় আহতদের মধ্যে দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। এখনো চিকিৎসাধীন অবস্থায় অন্যরা। এ ঘটনায় অবহেলায় মৃত্যু বিষয় উল্লেখ ওই অটোরিকশার শো রুমের মালিকের বিরুদ্ধে মামলা করেছে নিহতদের স্বজনেরা।
সব শেষ বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় ৪২ বছর বয়সী কামাল পাশা টিটু। এর আগে বুধবার একই হাসপাতালে মৃত হয় সাগর নামে আরেক কিশোরের। আহত ও দগ্ধরা এখনো বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভর্তি আছে।
ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির পরির্দশক বাচ্চু মিয়া জানান, নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে তাদের পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি আহতরা এখনো হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, গেল শনিবার সকাল সাড়ে ৯ টায় সদর উপজেলার কাশীপুর ইউনিয়নের ভোলাইল এলাকায় ঢাকা-মুন্সিগঞ্জ সড়কের পাশে থাকা নির্মাণাধীন পাঁচতলা ভবনের নিচতলায় মুসকান মটরস্ নামের একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার শো রুমে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে।
এ সময় পাশের একটি টিনের সেমিপাকা ঘর ও একটি দোতলা ভবনের দেয়ালসহ ছাদের অংশ ধসে পড়ে। ক্ষতিগ্রস্থ হয় আশপাশের অনেক ভবনের জানালার কাঁচ। পরে বিস্ফোরণের খবর পেয়ে ছুটেন যায় ফায়ার সার্ভিস। দগ্ধ সাতজন সহ আহত হাসপাতালে পাঠানো হয় ১৫ জনকে। পরে তাদেরকে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য নেয়া হয় ঢাকা মেডিক্যালে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ওই দুই জন।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের নারায়ণগঞ্জের উপ-সহকারী পরিচালক ফখরউদ্দিন আহম্মাদ জানান, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা শো রুমের ভেতরে অসংখ্য ব্যাটারি ছিলো। এসব ব্যাটারি থেকেই বিস্ফোরণ ঘটে। যা প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে। পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেবে পুলিশ।
ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নুরে আযম বলেন, বিস্ফোরণে ঘটনায় নিহত কিশোর সাগরের বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। মামলায় অবহেলায় মৃত্যু বিষয়টি উল্লেখ করা হয়। মামলার আসামী ওই অটোরিকশার শো রুমের মালিক স্বপন হোসেন ঘটনার পর থেকে পলাতক। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।