নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়ায় বিএনপির কালো পতাকা মিছিলকে কেন্দ্র করে মহানগর বিএনপির দুই গ্রæপের মধ্যে সংঘর্ষে সাংবাদিকসহ অনন্ত ১৫ জন আহত হয়েছে। বুধবার বিকেল চারটার দিকে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এসময় হাত বোমা বিস্ফোরণ ঘটনো হয়। পরে টিয়ারশেল ছুড়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের ছত্রবঙ্গ করে পুলিশ।
বিএনপি নেতাকর্মী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল মঙ্গলবার যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের জেলা ও মহানগরের পৃথক চারটি কমিটির অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় কমিটি। এই চার কমিটির পদবঞ্চিত ও পদ পাওয়া নেতার সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এর মধ্যে সাবেক জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মাজাহারুল ইসলাম জোসেফের লোকজন হামলা চালিয়েছে।
বিকেলে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে কালো পতাকা মিছিল করতে আসে বিএনপির নেতাকর্মীরা। এসময় পেছন থেকে লাঠি হাতে বিএনপির আরেকটি পক্ষ এসে মিছিলের থাকা নেতাকর্মীদের পেটানো শুরু করলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।
এসময় তিনটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় বিএনপি নেতারা। ভাংচুর করে একটি করে অটোরিকশা, মোটরসাইকেল ও সিএনজি। ভিডিও করতে গেলে মারধর করা হয় সময় টিভির ক্যামেরা পার্সন আরিফ হোসেন ও ৭১ টিভির ক্যামেরা পার্সন উল্লাসকে। সংঘর্ষকারীদের ধাওয়ায় পড়ে গিয়ে ভেঙ্গে যায় দেশ টিভির নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি বিল্লাল হোসাইনের মুঠোফোন।
পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে ধাওয়া দিয়ে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে বিএনপি নেতাকর্মীদের ছত্রবঙ্গ করে। বিএনপি উভয় পক্ষের সংঘর্ষে আহত হয় অনন্ত ১৫ জন।
হামলার বিষয়ে জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মাজাহারুল ইসলাম জোসেফের বলেন, পদ না পাওয়ায় উত্তেজিত নেতাকর্মীরা এ কাজ করেছে।
আর নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সভাপতি সাখাওয়াত হোসেনের দাবি, বিএনপির কর্মসূচি বন্ধ করতে সরকারি দলের লোকজনের ইন্ধনে এ হামলা চালানো হয়।
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনিচুর রহমান মোল্লা জানান, বিএনপির নেতা-কর্মীদের দুই পক্ষের মধ্যে অভ্যন্তরীন কোন্দলে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এসময় সাংবাদিকসহ কয়েকজন আহত হন। কয়েকটি যানবাহন ভাঙচুর করে বিএনপি নেতাকর্মীরা। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।