মাঠে ডেকে নিয়ে চাকু দিয়ে গলাকেটে নয়নকে ‘খুন’

পূর্ব বিরোধের জের ধরে কৌশলে মাঠে ডেকে নিয়েই সুইচ গিয়ার চাকু দিয়ে আঘাত করে নির্মমভাবে হত্যা করা হয় ফতুল্লার হোসিয়ারী কারখানার শ্রমিক কিশোর নয়নকে । এ ঘটনায় শনিবার থানায় হত্যা মামলা হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে ছয়জনকে।

এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ফতুল্লার গোয়ালিয়া খাল এলাকার একটি বালুর মাঠে একদল যুবক ছুরিকাঘাত করে ও গলা কেঁটে রাস্তায় ফেলে রেখে যায় নয়নকে। এই ঘটনায় ওই রাতেই পুলিশ শহরের গলাচিপা ও ইসদাইর এলাকা থেকে সন্দেহভাজন ৬ জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

নিহত নয়ন বোয়ালিয়া খালপাড় এলাকার জালাল শিকদার ও নাসিমা বেগম দম্পতির ছোট ছেলে। সে স্থানীয় একটি হোসিয়ারী কারখানায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করতো বলে পরিবার জানিয়েছে।

শনিবার দুপুরে তার ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ মাসদাইর কবরস্থানে দাফন কর হয়। পরে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে নয়নের মা নাছিমা বেগম বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করলে পুলিশ আটক ৬ যুবককে গ্রেপ্তার দেখিয়ে সাত দিনের পুলিশ রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে আদালতে পাঠায় পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, ফতুল্লার ভ‚ইয়ারবাগ বোয়াইলিয়া খাল এলাকার কাউসারের ছেলে ফরহাদ, নগরের নন্দিপাড়া মজম টাওয়ার এলাকার মোহাম্মদ আলীর ছেলে আল-আমিন, ফতুল্লার ভ‚ইয়ারবাগ বোয়াইলিয়া খাল এলাকার শিপনের ছেলে ইয়াছিন আরাফাত, গলাচিপা এলাকার রনি দাসের ছেলে জয়, সুজনের ছেলে শাওন ও আব্দুল মান্নানের ছেলে জুয়েল।

ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নুরে আযম মিয়া জানান, নয়ন হত্যাকান্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হত্যার মূল পরিকল্পনাকারীকেসহ সহযোগী অন্য আসামীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। থানায় হত্যা মামলা করেছে নয়নের মা।

এদিকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ফতুল্লা পুলিশের উপ পরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান সজিব আদালতে পাঠানো প্রতিবেদন জানিয়েছেন, শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে নয়ন তার বাসা থেকে বরে হয়ে গোয়ালিয়া খাল এলাকায় যায়। সেখানে শাওন ও ফরহাদ নামে দুই যুবক নয়নকে দেখে কৌশলে তাকে নিয়ে আলমের বালুর মাঠে নিয়ে গেয়ে মার্বেল খেলতে থাকে।

কিছু সময়পর বড় শাকিলের নেতৃত্বে আল-আমিন, ইয়াছিন আরাফাত, জয় ও জুয়েলসহ আরো বেশ কয়েকজন যুবক পূর্বের একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে ধারালো সুইচ গিয়ার চাকু, রামদা, চাপাতিসহ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কিশোর নয়নকে উপর্যপরি আঘাত করতে থাকে।

একর্যায়ে শিপন ওরফে লেংটা শিপন একটি সুইচ গিয়ার চাকু দিয়ে নয়নের গলার বাম দিকে পোচ দিয়ে গুরুত্বর কাটা জখম করে। একই সময় কাকা রাসালে নামে আরেক যুবক ধারালো চাপাতি দিয়ে নয়নের বাম হাতের কুপিয়ে রক্তাক্ত করাসহ দলটির অন্য সদস্যরা একে একে নয়নকে ধারালো চাকু দিয়ে আঘাত করে রক্তাক্ত করে মৃত্যু নিশ্চিতভেবে ফেলে চলে যায়। এসময় স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় নয়নকে সেখান থেকে উদ্ধার করে নগরীর ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষ সংবাদ

ফেসবুকে যুক্ত থাকুন