প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের সংবিধানে বলা আছে যে একজন নির্বাচিত সরকার প্রধান আরেকজন নির্বাচিত সরকার প্রধান ধারায় প্রতিস্থাপিত হবে৷ এটা যেমন উচ্চ আদালতের রায়ে আছে এটা আবার আমাদের সংবিধানে আছে।
বুধবার (২১ জুন) দুপুরে গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, নির্বাচনের সময় প্রার্থীর জনপ্রিয়তা এবং গ্রহণযোগ্যতা আমরা বিবেচনা করি। আমাদের নারীরা যদি ভালো কাজ করে, আমরা কিন্তু নারীদের দিয়ে থাকে।
তিনি আরও বলেন, বিরোধীদলগুলো এখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি জানাচ্ছে। অথচ একসময় খালেদা জিয়ার উক্তি ছিল, পাগল ও শিশু ছাড়া কেউ নিরপেক্ষ নয়। তারা নিজেরাই এ তত্ত্বাবধায়ক সরকার চাচ্ছে। এ পদ্ধতি তারাই নষ্ট করেছিল এবং তারা এটা বাদ দিয়েছিল। তারাই রাখেনি, এখন তারাই ফেরত চাচ্ছে।
সরকার প্রধান বলেন, আমি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের কন্যা। কারও কাছে এ দেশের সম্পদ বিক্রি করে ক্ষমতায় আসতে চায় না। গ্যাস বিক্রির মুচলেকা দিলে আমিও ক্ষমতা থাকতে পারতাম। এখন যদি বলি সেন্টমার্টিন দ্বীপ কারও কাছে লিজ দেবো তাহলে ক্ষমতা থাকার কোনো অসুবিধা নেই। আমার দ্বারা এটা হবে না। আমার দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে কাউকে খেলতে দেবো না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা এ গ্যাস বিক্রির মুচলেকা দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল। এখন তারা দেশ বিক্রি করবে। তারা নাকি সেন্টমার্টিন দ্বীপ বিক্রির মুখলেকা দিয়ে আসতে চায়।
তিনি আরও বলেন, সংবিধান ধারাকে জটিলতা সৃষ্টি কেন করছে? উদ্দেশ্যটা কী? তার মানে গণতন্ত্রের ধারা নষ্ট করা। নির্বাচন বানচাল করার জন্য বিএনপি-জামায়াত সন্ত্রাস করেছে, তিন হাজার আটশ গাড়ি পুড়িয়ে, তিন হাজারের ওপর মানুষ পুড়িয়েছে তারা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, নেনএলেম মোভমেন্ট এখনো সচল আছে। ওটা কিন্তু এখনও একেবারে বন্ধ হয়নি, এখনো সম্মেলন অনুষ্ঠান হয়।
