জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী (একনেক) কমিটির সভায় ১৬টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে ২৪ হাজার ৩৬২ কোটি ১৪ লাখ টাকা। সরকারি তহবিল থেকে ১২ হাজার ৮৭৩ কোটি ১১ লাখ টাকা, বৈদেশিক ঋণ থেকে ১১ হাজার ৪৭২ কোটি ৮৮ লাখ টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে ১৬ কোটি ১৫ লাখ পাওয়া যাবে।
মঙ্গলবার (২০ জুন) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রকল্পগুলো অনুমোদন দেওয়া হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানান পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম। এসময় পরিকল্পনা বিভাগের সচিবসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হচ্ছে
‘সৌর বিদ্যুৎ চালিত পাম্পের মাধ্যমে কৃষি সেচ (২য় সংশোধিত)’; ‘বিসিএস (কর) একাডেমির ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প (প্রথম পর্যায়)’; ‘জার্মানীর বার্লিনে বাংলাদেশ চ্যান্সারি কমপ্লেক্স নির্মাণ (১ম সংশোধন)’; ‘সুনামগঞ্জ-মদনপুর-দিরাই-শাল্লা-জলসুখা-আজমিরিগঞ্জ-হবিগঞ্জ মহাসড়কের শাল্লা-জলসুখা সড়কাংশ নির্মাণ (১ম সংশোধিত)’; ‘হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পথচারী আন্ডারপাস প্রকল্প’; ‘তৃতীয় নগর পরিচালন ও অবকাঠামো উন্নতিকরণ (সেক্টর) (৩য় সংশোধিত)’; ‘নগর পরিচালন ও অবকাঠামো উন্নয়ন’; ‘বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের ঈশ্বরদী-পার্বতীপুর সেকশনের স্টেশনসমূহের সিগন্যালিং ও ইন্টারলকিং ব্যবস্থার প্রতিস্থাপন ও আধুনিকীকরণ’।
এছাড়া, ‘ইকোনমিক এক্সেলেরেশন অ্যান্ড রেসিলিয়েন্স ফর নিট (আর্ন)’; ‘খুরুশকুল বিশেষ আশ্রয়ণ প্রকল্প (১ম সংশোধিত)’; ‘রুরাল কানেকটিভিটি ইম্প্রুভমেন্ট প্রজেক্ট (আরসিআইপি) (১ম সংশোধন)’; ‘চট্টগ্রাম বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা ও ইউনিয়ন সড়ক প্রশস্তকরণ ও শক্তিশালীকরণ’; ‘গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার পাঁচপীর বাজার – চিলমারী উপজেলা সদর দপ্তরের সঙ্গে সংযোগকারী সড়কে তিস্তা নদীর উপর ১৪৯০ মি. দীর্ঘ পিসি গার্ডার সেতু নির্মাণ (৩য় সংশোধন)’; রাজশাহী বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা ও ইউনিয়ন সড়ক প্রশস্তকরণ ও শক্তিশালীকরণ’; ‘নোয়াখালী, ফেনী ও লক্ষ্মীপুর জেলার গুরুত্বপূর্ণ পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন’; ‘গ্রামীণ মাটির রাস্তাসমূহ টেকসইকরণের লক্ষ্যে হেরিং বোন বন্ড (এইচবিবি) করণ (২য় পর্যায়) (১ম সংশোধিত)’।
এছাড়া, একনেক সভায় আলোচনার জন্য ‘বাংলাদেশ রেলওয়ের কুলাউড়া-শাহবাজপুর সেকশন পুনর্বাসন (১ম সংশোধিত)’ প্রকল্পটি তোলা হয়েছিল।