প্রধান প্রতিবেদকঃ
বায়ুদূষণে ঢাকাসহ বিশ্বের শহরগুলোর অবস্থান প্রতি মুহূর্তেই ওঠানামা করে। কখনও রাতে বাড়ে আবার সকালে কমে। এ ধারাবাহিকতায় আজ সোমবার ৫ জুন সর্বশেষ বেলা ১১টা পর্যন্ত দূষিত শহরের তালিকায় আবারও শীর্ষস্থানে রয়েছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা।
আবহাওয়ার মান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) জানিয়েছে, একিউআই স্কোর ১৫৭ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে ঢাকা । ১৫৫ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে কাতারের দোহা। ১৫৩ স্কোর নিয়ে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা রয়েছে তৃতীয় অবস্থানে।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার এ তালিকা প্রকাশ করে। একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়; আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়।
২০১ থেকে ৩০০-র মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। এদিকে ৩০১ থেকে ৪০০-র মধ্যে থাকা একিউআই ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
সাধারণত একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে; যেমন: বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদফতর ও বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় যে, ঢাকার বায়ুদূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো: ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলা।
প্রতিবছরই পূর্ববর্তী দিনের চেয়ে গড়ে ৮ থেকে ১০ ভাগ দূষণ বাড়ছে। কিন্তু এর জন্য কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। মহানগরীতে সবচেয়ে বেশি ৩১ ভাগ বায়ুদূষণ ঘটে অপরিকল্পিতভাবে নির্মাণকাজের কারণে। ফলে কোনো নির্দিষ্ট এলাকাকে বায়ুদূষণের হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করা যায় না। যে এলাকায় বড় উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ হয়, সেখানে বায়ুদূষণ সবচেয়ে বেশি দেখা যায়।