এসএসসি পরীক্ষা শুরু ৩০ এপ্রিল

দেশকথা প্রতিবেদনঃ

আগামী ৩০ এপ্রিল থেকে সারাদেশে শুরু হচ্ছে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। এবার অংশ নিতে যাচ্ছে ২০ লাখ ৭২ হাজার ১৬৩ পরীক্ষার্থী। মঙ্গলবার ২৫শে এপ্রিল জাতীয় মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠিত জাতীয় মনিটরিং ও আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সভাপতিত্বে, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী ও শিক্ষা সচিবসহ অধিদফতরের প্রধানদের নিয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে শিক্ষামন্ত্রী এ তথ্য তুলে ধরেন।

পুনর্বিন্যাসকৃত সিলেবাসে পূর্ণ নম্বরে, পূর্ণ সময়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, ‘১১টি শিক্ষাবোর্ডে মোট ৩ হাজার ৮১০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ২০ লাখ ৭২ জাজার ১৬৩ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেবে। কেন্দ্র সংখ্যা ২৯ হাজার ৮৯৮টি। গত বছরেরে তুলনায় এবার ৫০ হাজার ২৯৫ জন পরীক্ষার্থী বৃদ্ধি পেয়েছে। যার ৮০ ভাগই ছাত্রী।’

তিনি জানান, পরীক্ষা শুরু হবে ১০ টায় শেষ হবে দুপুর ১টায়। এবারও পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে। অনিবার্য কারণে কোনো পরীক্ষার্থীকে এরপরে প্রবেশ করতে দিলে তাদের নাম, রোল নম্বর, প্রবেশের সময়, বিলম্ব হওয়ার কারণ ইত্যাদি একটি রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করে ওইদিনই সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডে প্রতিবেদন দিতে হবে। এ ছাড় পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট আগে এসএমএসের মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের কাছে প্রশ্নপত্রের সেট কোড জানিয়ে দেওয়া হবে। কেন্দ্র সচিব ব্যতীত অন্য কেউ মোবাইল ফোন/ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না। শুধু কেন্দ্র সচিব মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন (তবে ছবি তোলা যায় না এমন ফোন)। পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের (পরীক্ষার্থী, কক্ষ প্রত্যবেক্ষক, মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন টিম, বোর্ডের পরিদর্শন টিম, জেলা ও উপজেলা পরিদর্শন টিম, নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য) ব্যতীত অন্য কেউই কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবে না।

শিক্ষামন্ত্রী জানান, এবারও দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, সেরিব্রাল পালসিজনিত প্রতিবন্ধী এবং যাদের হাত নেই এমন প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থী ক্রাইব (শ্রুতি লেখক) সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। এ ধরনের পরীক্ষার্থীদের এবং শ্রবণ প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ২০ মিনিট সময় বাড়ানো হয়েছে। প্রতিবন্ধী (অটিস্টিক, ডাউন সিনড্রোম, সেরিব্রাল পালসি) পরীক্ষার্থীদের অতিরিক্ত ৩০ মিনিট সময় বৃদ্ধিসহ শিক্ষক/অভিভাবক/সাহায্যকারীর বিশেষ সহায়তায় পরীক্ষা প্রদানের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে ফলাফল প্রকাশিত হবে।

পরীক্ষা হবে সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের ক্ষেত্রে ৩০ এপ্রিল থেকে ২৩ মে, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড: তত্ত্বীয় পরীক্ষা ৩০ এপ্রিল থেকে ২৫ মে, ব্যবহারিক পরীক্ষা ২৭ মে থেকে ৩ জুন ২০২৩ শেষ হবে বলেও জানান তিনি।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘সুষ্ঠু, সুন্দর ও নকলমুক্ত পরিবেশে পরীক্ষার লক্ষে আগামী ২৬ এপ্রিল থেকে ২৩ মে সকল কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে। শিক্ষা বোর্ডগুলোর পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পরীক্ষা কেন্দ্রগুলো অনলাইনে সার্বক্ষণিকভাবে তথ্য আদান-প্রদান করবে।’

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষ সংবাদ

ফেসবুকে যুক্ত থাকুন