গ্রীষ্মকাল এসেছে অথচ রসালো ফল তরমুজ খাওয়া হয়নি, তা হতে পারে না! গরমে প্রাণ জুড়াতে এই ফলের জুড়ি নেই। এখন রমজান মাস চলছে। সারাদিন রোজা থাকার ফলে আমাদের তৃষ্ণাও বেড়ে যায়। শরীরে পানিশূন্যতারও সৃষ্টি হতে পারে। এ ধরনের সমস্যা থেকে বাঁচতে তরমুজ খেতে হবে। সারাদিন রোজা থাকার পর ইফতার বা ইফতার পরবর্তী সময়ে খেতে পারেন এই ফল। ভিটামিন, খনিজ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর এই ফল আপনাকে রোজায়ও সতেজ রাখতে কাজ করবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক আরও কী কী উপকারিতা রয়েছে তরমুজে।
পানির ঘাটতি দূর করে
সারাদিন রোজা ও গরমে ঘামের কারণে শরীর থেকে প্রচুর পানি বেরিয়ে যায়। রোজায় সেই ঘাটতি দিনের বেলা মেটানো সম্ভব হয় না। এমন অবস্থায় ইফতারে রাখতে পারেন তরমুজ। এতে শরীর তো ঠান্ডা হবেই, সেইসঙ্গে শরীরে ঘাটতিও মিটবে। তবে খেয়াল রাখবেন, তরমুজ কিন্তু পানির বিকল্প নয়। তাই ইফতারের পর পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে।
ত্বক ভালো রাখে
রসালো এই ফলে আছে ভিটামিন এ, বি৬, সি। এই ভিটামিনগুলো ত্বককে মসৃণ করতে সাহায্য করে। তাই ইফতারের থালায় তরমুজ রাখুন। এছাড়া তরমুজ দিয়ে তৈরি প্যাকও মুখে ব্যবহার করতে পারবেন। এতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে।
চোখ ভালো রাখে
তরমুজের একটি বড় টুকরা খেলে দৈনিক চাহিদার প্রায় ৯-১১ শতাংশ ভিটামিন এ পাওয়া যাবে। চোখের বিভিন্ন সমস্যা সারাতে এই ভিটামিন ভীষণ কার্যকরী। সেইসঙ্গে তরমুজে থাকে খনিজও। যে কারণে চোখের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে এটি বড় ভূমিকা রাখে।
হার্ট ভালো রাখবে
তরমুজে থাকে সাইট্রুলাইন নামক বিশেষ এক ধরনের অ্যামাইনো অ্যাসিড। এই অ্যামাইনো অ্যাসিড স্বাভাবিক রক্ত সংবহণে সাহায্য করে। সেইসঙ্গে কমায় ব্লাড প্রেশার। যে কারণে হৃৎপিণ্ড সুস্থ থাকে। সেইসঙ্গে তরমুজে থাকে লাইকোপেন। এই উপাদান হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা কমাতে কাজ করে এমনটাই উঠে এসেছে বিভিন্ন গবেষণায়। তরমুজ খাওয়ার পাশাপাশি, স্যাচুরেটেড ফ্যাট না খাওয়া, ধূমপান বন্ধ করার মতো ভালো অভ্যাসও গড়তে হবে। এতে হার্ট ভালো থাকবে।
জয়েন্ট ভালো রাখে
তরমুজে থাকে বিটা ক্রিপটোজ্যানথিন নামক একটি প্রাকৃতিক পিগমেন্ট। এই উপাদান অস্থিসন্ধির প্রদাহ দূর করতে কাজ করে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, এই উপাদান রিউম্যাটয়েড আর্থ্রাইটিস প্রতিরোধে কাজ করে। যারা জয়েন্টের ব্যথায় ভুগছেন, তারা এই ফল নিয়মিত খেলে উপকার পাবেন। তরমুজ জুস করে খেলেও উপকার পাবেন।