রাশিয়ার ভাড়াটে সেনাবাহিনী ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান ইয়েভগিনি প্রিগোজিন গত শুক্রবার (৫ মে) হুমকি দেন ইউক্রেনের বাখমুত থেকে নিজ সেনাদের প্রত্যাহার করে নিয়ে যাবেন তিনি। ‘অস্ত্রের অভাবে’ বাধ্য হয়ে চলে যেতে হবে বলে জানিয়েছিলেন প্রিগোজিন।
এমন হুমকির পর রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণলায় ওয়াগনারকে আরও অস্ত্র দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রিগোজিন নিজে।
রোববার (৭ মার্চ) টেলিগ্রামে দেওয়া এক বার্তায় এমন দাবি করেন এই ওয়ার লর্ড।
দীর্ঘ ১০ মাস বাখমুতে লড়াই করে চলছে ওয়াগনার সেনারা। ডনবাসের দোনেৎস্কের এ শহরটির বেশিরভাগ অংশই এখন ওয়াগনারের দখলে রয়েছে। তবে শুক্রবার যখন প্রিগোজিন সেনা প্রত্যাহারের হুমকি দেন তখন শহরটির নিয়ন্ত্রণ রাশিয়ার কাছ থেকে হাতছাড়া হয়ে যাওয়ার শঙ্কা দেখা দেয়।
অবশ্য ওয়াগনার প্রধান রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে অনুরোধ জানান, ওয়াগনার সেনাদের দখলকৃত স্থানগুলোতে যেন রাশিয়ার মূল সেনাবাহিনীকে মোতায়েন করা হয়। এর একদিন পর প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই সোইগুর কাছে একটি চিঠি লিখে ওয়াগনারের জায়গায় রমজান কাদিরভের চেচেন সেনাদের মোতায়েনের অনুরোধও জানান তিনি।
চিঠিতে প্রিগোজিন লেখেন, ‘আমি আপনাকে অনুরোধ করছি, বাখমুতে ওয়াগনার সেনাদের জায়গায় আখমাত ব্যাটালিয়নকে (চেচেন সেনাদের) মোতায়েন করতে ১০ মের আগে একটি কমব্যাট নির্দেশ জারি করুন।’
তবে এখন আরও অস্ত্রের প্রতিশ্রতি পাওয়ায় তিনি তার সেনাদের প্রত্যাহার করে নেন কিনা সেটিই দেখার বিষয়।
যদিও প্রিগোজিনের শুক্রবারের সেই ঘোষণার পরই ইউক্রেনের সামরিক কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন, তারা ওয়াগনার সেনাদের সরে যাওয়ার কোনো লক্ষণ দেখেননি। উল্টো যুদ্ধের অন্যান্য সম্মুখভাগ থেকে ওয়াগনার সদস্যদের বাখমুতে নিয়ে আসা হয় বলেও জানান একজন।