গাঁজা পাচারের অভিযোগে ভারতীয় বংশোদ্ভূতের ফাঁসি

বিদেশ ডেস্কঃ

২০১৩ সালে মালয়েশিয়া থেকে সিঙ্গাপুরে এক কেজি গাঁজা পাচারের চক্রান্তে জড়িত থাকার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয় তাঙ্গারাজু সুপিয়াহকে। বুধবার ভোরে চাঙ্গি কারাগারে ৪৬ বছর বয়সী তাঙ্গারাজুকে ফাঁসি দেওয়া হয়।

তাঙ্গারাজুর পরিবার, মানবাধিকারকর্মী, ব্রিটিশ ধনকুবের স্যার রিচার্ড ব্র্যানসন এমনকী জাতিসংঘ মানবাধিকার কার্যালয়ের পক্ষ থেকে জানানো ক্ষমার আবেদন উপেক্ষা করে সিঙ্গাপুর এ মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে।

২০১৩ সালে মালয়েশিয়া থেকে সিঙ্গাপুরে এক কেজি গাঁজা পাচারের চক্রান্তে জড়িত থেকে প্ররোচণা দেওয়ার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল তাঙ্গারাজুকে।

যদিও তিনি গাঁজাসহ ধরা পড়েননি বা গাঁজা সরবরাহের সময় ধরা পড়েননি। তবে কৌসুলিরা বলছেন, গাাঁজা পাচারের গোটা বিষয়টিই সমন্বয় করেছিলেন তাঙ্গারাজু।

অধিকারকর্মীরা বলছেন, দুর্বল তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে তাঙ্গারাজুকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে এবং তার বিচার চলাকালে আইনি অধিকার সীমিত ছিল।তবে সিঙ্গাপুর কর্তৃপক্ষ বলছে, যথাযথ প্রক্রিয়া মেনেই সুষ্ঠু বিচার করা হয়েছে। আদালতকে নিয়ে প্রশ্ন তোলার জন্য অধিকারকর্মীদের সমালোচনা করেছে কর্তৃপক্ষ।

সিঙ্গাপুরে বিশ্বের সবচেয়ে কঠিন মাদকবিরোধী আইন রয়েছে, যে আইন মাদক অপরাধ দমনে প্রয়োজনীয় বলেই দাবি করে দেশটি।

বিবিসি জানায়, গত বছর সিঙ্গাপুর হেরোইন পাচারের জন্য একজন বুদ্ধি প্রতিবন্ধীসহ মাদক সংক্রান্ত অভিযোগে ১১ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে।

মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, কঠোর মাদক আইন এবং মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পদক্ষেপের কারণে ওই অঞ্চলের অগ্রসরমান দেশগুলোসহ অন্যান্য দেশের সঙ্গে সিঙ্গাপুরের বৈপরীত্য বাড়ছে।

সিঙ্গাপুরের প্রতিবেশী দেশ মালয়েশিয়া এ মাসের শুরুতে বাধ্যতামূলক মৃত্যুদণ্ড বাতিল করে বলেছে, অপরাধ দমনে এ সাজা কার্যকর নয়।

তাছাড়া, আরেক প্রতিবেশী দেশ থাইল্যান্ডসহ বিশ্বের অনেক দেশেই বর্তমানে গাঁজাকে বৈধতা দেওয়া হয়েছে। এসব দেশে গাঁজার বাণিজ্যেও উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে।

সিঙ্গাপুরের স্থানীয় মানবাধিকার সংগঠন ট্রান্সফরমেটিভ জাস্টিস কালেকটিভ বলেছে, “আশেপাশের দেশগুলো যখন খাবার, পানীয় এবং চিকিৎসার প্রয়োজনে গাঁজা ব্যবহার করছে, তখন আমাদের দেশে সেই একই গাঁজার জন্য মানুষের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করাটা অযৌক্তিক।”

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষ সংবাদ

ফেসবুকে যুক্ত থাকুন