রাশিয়া থেকে ডিসকাউন্টে বা কম দামে জ্বালানি তেল কেনার পরিকল্পনা করেছিল পাকিস্তান। তবে কারিগরি প্রযুক্তি এবং অর্থের অভাবে বাস্তবে এমন কোনো কিছু এখনো দেখা যায়নি।
শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম ইকোনোমিক টাইমস।
রাশিয়ার সংবাদমাধ্যমগুলোর বরাতে ইকোনোমিক টাইমস জানিয়েছে, স্বয়ং রাশিয়া পাকিস্তানের তেল কেনার ব্যাপারে সন্দেহ প্রকাশ করেছে। তেল কিনতে চায়— এমন প্রমাণ দেওয়ার জন্য ইসলামাবাদকে প্রথমে শুধুমাত্র একটি শিপমেন্ট নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে দেশটি।
রাশিয়া হতাশা প্রকাশ করে জানিয়েছে, পাকিস্তান জ্বালানি তেল কেনার প্রাথমিক কার্যক্রমও এখনো শুরু করেনি। পাকিস্তানের শোধনাগারে তেল পাঠানোর জন্য দুই দেশের মধ্যে একটি স্পেশাল পারপাস ভিহাইকেল (এসপিভি) গঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এমন কিছু এখনো হয়নি।
তবে পশ্চিমা চাপের কারণে এ প্রক্রিয়া বিলম্বিত হচ্ছে বা হবে বলে জানিয়েছেন একজন বিশেষজ্ঞ।
ইকোনোমিক টাইমস জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানকে জানিয়েছে, যদি তারা রাশিয়ার তেল কিনতে চায় তাহলে জি-৭ জোটের বেঁধে দেওয়া দাম ও নিয়ম অনুযায়ী তা করতে হবে।
রাশিয়া থেকে পাকিস্তানের তেল আনার বিষয়টি বিলম্ব হওয়ার আরেকটি কারণ হতে পারে অর্থের অভাব। বৈদশিক রিজার্ভ তলানিতে ঠেকায় বাধ্য হয়ে পাকিস্তান ‘অপ্রয়োজনীয়’ পণ্য রপ্তানি বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছে। এছাড়া আরেকটি কারণ হলো— রাশিয়ার ব্যাংকের সঙ্গে লেনদেন করার যে কারিগরি প্রযুক্তি প্রয়োজন সেটি ইসলামাবাদের নেই, যেটি ভারতের আছে। পাকিস্তান এ ধরনের কোনো ব্যবস্থাও করতে পারেনি।
এদিকে পাকিস্তান ব্যর্থ হলেও পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত রাশিয়ার কাছ থেকে টানা ৭ মাস জ্বালানি তেল কিনেছে। এরমাধ্যমে ইরাককে পেছনে ফেলে এখন দিল্লির সবচেয়ে বড় তেল সরবরাহকারীর জায়গা নিয়েছে রাশিয়া।