তাইওয়ানের চারপাশে দ্বিতীয় দিনের মতো মহড়া অব্যাহত রেখেছে চীন। গেল সপ্তাহে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং ওয়েন সাইয়ের যুক্তরাষ্ট্র সফরের পর এই অঞ্চলে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।
বেইজিং এই মহড়াকে বলছে তাইপের জন্য কঠোর সতর্কতা বলে আখ্যা দিয়েছে। এই মহড়ায় নৌবাহিনীর পাশাপাশি বিমানবাহিনীও ব্যবহার করছে চীন।
তাইওয়ান বলেছে, রোববার দ্বীপের কাছ দিয়ে কয়েক ডজন চীনা যুদ্ধবিমান উড়েছে, যেখানে নয়টি জাহাজ ইতোমধ্যে অবস্থান নিয়েছে। এই অভিযানকে বেইজিং বলছে- যৌথ তরবারি, যা সোমবার পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।
তাইওয়ানের কর্মকর্তারা এই অভিযানে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন। শনিবার তাইপেতে প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা বেইজিংকে দোষারোপ করেছেন। তারা বলছেন, তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং ওয়েন সাইয়ের যুক্তরাষ্ট্র সফরকে- আসলে সামরিক মহড়া চালানোর জন্য একটি অযুহাত হিসেবে দাঁড় করানো হয়েছে, যা এই অঞ্চলের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তাকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।
শনিবার পিংটান দ্বীপের কাছে নোঙর করা চীনের একটি জাহাজ থেকে গুলি ছোড়া হয়। রয়টার্স এমনটি বলেছে।
তাইওয়ানের সমুদ্রবিষয়ক পরিষদ কোস্টগার্ড পরিচালনা করে। পরিষদের প্রকাশ করা একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, তাদের একটি জাহাজ চীনা যুদ্ধজাহাজের দিকে নজর রাখছে।
রোববার তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, বিগত ২৪ ঘণ্টায় ৭১টি সামরিক বিমান ও নয়টি যুদ্ধজাহাজ তাইওয়ান প্রণালী অতিক্রম করেছিল।
এই প্রণালী মূলত চীন ও তাওয়ানের মধ্যবর্তী অনানুষ্ঠানিক বিভাজনরেখা।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর চীনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, যাতে তারা ক্যালিফোর্নিয়ার বৈঠক নিয়ে অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া না দেখায়। একইসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র চীনকে সংযম ও স্থিতাবস্থায় কোনো পরিবর্তন না আনার আহ্বান জানিয়েছে।
পররাষ্ট্র দপ্তরের এক মুখপাত্র বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বেইজিংয়ের কর্মকাণ্ড কাছ থেকে পর্যবেক্ষণ করছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, এই অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতি নিশ্চিত করতে এবং আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা প্রতিশ্রুতি পূরণে আমাদের যথেষ্ট সঙ্গতি ও সক্ষমতা রয়েছে।