সেবা খাতে চিকিৎসকদের আন্তরিকতার অভাব দেখছেন স্বাস্থ্য সচিব

দেশে চিকিৎসা সেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া হলেও সেগুলোতে সেবার মান নিয়ে প্রশ্ন আছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ড. মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন হাওলাদার।

তিনি বলেন, স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নে সরকার নানা পদক্ষেপ নিলেও কিছু ক্ষেত্রে এখনও রোগীর সেবায় চিকিৎসকদের আন্তরিকতা অভাব দেখা যাচ্ছে।

বুধবার (৩ মে) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আয়োজিত ন্যাশনাল কনফারেন্স ২০২৩ : সেক্সুয়াল অ্যান্ড রিপ্রোডাকটিভ হেলথ অ্যান্ড রাইটস বিষয়ক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অ্যাডসার্চ ও আইসিডিডিআরবি যৌথভাবে এ কনফারেন্সের আয়োজন করে।

স্বাস্থ্য সচিব বলেন, কোনও কোনও হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায় চিকিৎসকরা গল্প করছেন, রোগীদের প্রতি মনযোগ দিচ্ছেন না। এমনটা যেন অহেতুক না হয়। আমরা সবাই এটার প্রতি খেয়াল রাখবো। তাহলে আমার মনে হয় আজকের বিষয়টা অর্জিত হবে।

ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, যৌন এবং প্রজনন স্বাস্থ্য প্রত্যেকের ব্যক্তিগত অধিকার। কাজেই প্রত্যেকে এটা পাওয়ার হকদার। অতএব আমাদের হাসপাতাল এবং প্রতিষ্ঠানগুলোতে সেই ধরনের পরিবেশ তৈরি করতে হবে, যেখানে গেলে তারা স্বস্তিবোধ করে। এমন যেন না হয়, সেখানে গেলে তারা অহেতুক হয়রানির শিকার হয়।

আইসিডিডিআর,বি জানায়, যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য সুরক্ষায় কাজ করা এবং যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নতুন গবেষণা ও উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করা এবং গবেষক-উদ্ভাবক, আইনপ্রণেতা, পেশাজীবী ও তরুণদের একত্রিত করা ছিল সম্মেলনের অন্যতম উদ্দেশ্য। এবারের সম্মেলনে বাংলাদেশের যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য বিস্তারে অসামান্য অবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ তিনজন বিশিষ্টজনকে ‘এক্সিলেন্স ইন এসআরএইচআর অ্যাওয়ার্ড-২০২৩’ দেওয়া হয়। এ বছর অধ্যাপক ডা. এ এইচএম তৌহিদুল আনোয়ার চৌধুরী, জাতীয় অধ্যাপক ডা. শাহলা খাতুন ও বাংলাদেশের প্রজনন স্বাস্থ্য গবেষণা ও কর্মসূচির অগ্রদূতখ্যাত হালিদা আকতার হানুমকে এই সম্মাননায় ভূষিত করা হয়।

অনুষ্ঠানে যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য এবং অধিকার এ বিষয়ে উদ্ভাবন নিয়ে দুটি পৃথক বৈজ্ঞানিক সেশনের আয়োজন করা হয়। এতে বিশেষজ্ঞরা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তাদের উপস্থাপনা তুলে ধরেন। গবেষণা ও উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করার জন্য সম্মেলনের আগে গবেষণা ধারণাপত্র ও উদ্ভাবনী প্রস্তাবনা আহ্বান করা হয়েছিল। সেখান থেকে বাছাইকৃত সেরা গবেষণা ধারণাপত্র ও উদ্ভাবনী প্রস্তাবনাগুলো উপস্থাপন এবং সেরাদের পুরস্কৃত করা হয়। পরে বিজয়ীরা বছরব্যাপী বিশেষজ্ঞদের তত্ত্বাবধানে গবেষণা ও উদ্ভাবনের সুযোগ পাবেন।  সম্মেলনে গবেষণা ও উদ্ভাবন নিয়ে স্টল আয়োজনের পাশাপাশি যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য নিয়ে পোস্টার প্রদর্শনী ছিল। 

সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের হেলথ সার্ভিস ডিভিশনের অতিরিক্ত সচিব সাইদুর রহমান, ঢাকাস্থ কানাডিয়ান হাইকমিশনের হেড অব ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশন জো গুডিংস, ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব পপুলেশন রিসার্চের (নিপোর্ট) ডিরেক্টর জেনারেল শফিকুল ইসলামসহ আরও অনেকে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষ সংবাদ

ফেসবুকে যুক্ত থাকুন