রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ের (রাবি) ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে তিন প্রক্সিদাতাকে আটক করেছে বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসন। মঙ্গলবার (৩০ মে) সকালে ‘এ’ ইউনিটের প্রথম শিফটের পরীক্ষা চলাকালে সন্দেহজনকভাবে তাদেরকে আটক করা হয়।
আটক তিনজন হলেন- মো. হোসাইন, আব্দুল রাকিব ও স্বপন হোসাইন। আটক হোসাইন কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ^বিদ্যালয় থানার আব্দালপুর গ্রামের কাওসার হোসেনের ছেলে। তিনি বিশ^বিদ্যালয়ের স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের ৪২৪নং কক্ষে রোল ২১৬০২ এর পরীক্ষার্থী জাহিদ হাসান সিয়ামের হয়ে প্রক্সি দেন।
এদিকে, আটককৃতদের বিশ^বিদ্যালয়ের প্রক্টর দফতরে জিজ্ঞাসাবাদকালে তারা প্রক্সি দিয়েছেন বলে স্বীকার করেছেন। তাদের একজন রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
অপরদিকে, আটক আব্দুর রাকিবকে বিশ^বিদ্যালয়ের স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের ৩৩৭ নম্বর কক্ষ থেকে আটক করা হয়। তিনি মূল পরীক্ষার্থী। তবে তার হয়ে প্রক্সি দেওয়ার জন্য অন্য ব্যক্তির সঙ্গে চুক্তি করেন তিনি। সে অনুযায়ী প্রবেশপত্রের ছবিও পরিবর্তন করা হয়। তবে তার বাবার কাছে প্রক্সির জন্য টাকা চাইতে গেলে তিনি অস্বীকৃতি জানালে রাকিব নিজেই পরীক্ষা দিতে আসেন। মূলত ছবি পরিবর্তনের অভিযোগে তাকে আটক করা হয়। আর স্বপন হোসাইন নওগাঁ জেলার বদলগাছি থানার চকগোপিনাথ গ্রামের মো. মোজাম্মেল হোসেনের ছেলে। তিনি রাবির লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র। তিনি কৃষি অনুষদ ভবনের ১৩৫নং রুমে রোল- ২৪০৯৬ এর পরীক্ষার্থী তানভীর আহমেদ এর হয়ে পরীক্ষায় অংশ নেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বিশ^বিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পাণ্ডে বলেন, আমরা সন্দেহজনকভাবে তিনজনকে আটক করেছি। তাদেরকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তারা নিজেদের দোষ স্বীকার করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।