‘২০২৪ সালের মধ্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সবাই যেন প্রশিক্ষণের আওতায় আসে’

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান বলেছেন, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শুধু দক্ষ হলে চলবে না, তাদের সততা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি দেশপ্রেমিক হতে হবে। অন্যথায় কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব হবে না। 

সোমবার (১০ এপ্রিল) গাজীপুর ক্যাম্পাসে সিনেট হলে সরাসরি ও ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে আয়োজিত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) বিষয়ক দিনব্যাপী কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন উপাচার্য ।

মশিউর রহমান বলেন, আগামী ২০২৪ সালের মধ্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী যেন প্রশিক্ষণের আওতায় আসে ২০২৪ সালের মধ্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী যেন প্রশিক্ষণের আওতায় আসে সেটি নিশ্চিত করতে হবে। কারণ প্রশিক্ষণে দক্ষতা বাড়ে। এটি চলমান প্রক্রিয়া। সেবা গ্রহীতারা যেন ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে যেতে পারে সেটিও নিশ্চিত করতে হবে। উচ্চশিক্ষায় টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিতে প্রশিক্ষণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে প্রশিক্ষণে মূল্যায়নের বিষয়টি থাকা দরকার। যারা ভালো করবে, তারা দেশে-বিদেশে উন্নত প্রশিক্ষণে যাবে। তাদের জন্য পুরস্কারও থাকা দরকার। একেবারে শীর্ষ পর্যায় থেকে শুরু করে নিম্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ প্রশিক্ষণের মাস্টার প্ল্যান হওয়া উচিত। এটি চাকরিরই অংশ। তবে কেউ যেন প্রশিক্ষণের অজুহাতে ডেস্কের কাজের ব্যাঘাত না ঘটায় সেদিকে দৃষ্টি দিতে হবে।

কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. নিজামউদ্দিন আহমেদ, ট্রেজারার প্রফেসর আবদুস সালাম হাওলাদার। কর্মশালায় মুখ্য প্রবন্ধ উপস্থাপক ও রিসোর্স পার্সন হিসেবে যুক্ত ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সচিব ড. ফেরদৌস জামান।

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষ সংবাদ

ফেসবুকে যুক্ত থাকুন