সপ্তাহের দ্বিতীয় কর্মদিবসে সোমবার (১০ এপ্রিল) দরপতনের মধ্যদিয়ে দেশের পুঁজিবাজারে লেনদেন হয়েছে। ক্রেতাদের শেয়ার বিক্রির চাপে এদিন দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক কমেছে ১২ পয়েন্ট।
আর অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক কমেছে ১১ পয়েন্ট। সূচকের পাশাপাশি উভয় বাজারে কমেছে লেনদেন। অপরদিকে আজ অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে।
ডিএসইর তথ্য মতে, দরপতনের দিন আজ ডিএসইতে মোট ৭ কোটি ২৭ লাখ ৩০ হাজার ৯৪৭টি শেয়ার ও ইউনিট কেনা-বেচা হয়েছে। এতে লেনদেন হয়েছে ৪৬৯ কোটি ৪৯ লাখ ৮৯ হাজার টাকা। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৪৯৮ কোটি ৮১ লাখ ৬৩ হাজার টাকা। অর্থাৎ আগের দিনের চেয়ে লেনদেন কমেছে।
এ দিন প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ১২ দশমিক ৪৭ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ২০১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ডিএসইর অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরীয়াহ সূচক ৩ দশমিক ৫৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩৪৪ পয়েন্টে। ডিএসই ৩০ সূচক ৩ দশমিক ৭ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ১৯৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
ডিএসইতে মোট ৩১১টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৬টি কোম্পানির, কমেছে ৮৮টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৮৭টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের দাম।
এ দিন ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে ছিল এপেক্স ফুটওয়্যারের শেয়ার। এরপর সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে আমরা নেটওয়ার্কসের শেয়ার। আর তৃতীয় স্থানে ছিল জেমিনি সি ফুডের শেয়ার। তারপর শীর্ষ ১০-এ যথাক্রমে ছিল– ওরিয়ন ইনফিউশন, জেনেক্স ইনফোসিস, ইস্টার্ন হাউজিং, রয়েল টিউলিপ সি পার্ল, মিডল্যান্ড ব্যাংক, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন এবং লিগেসি ফুটওয়ারের শেয়ার।
অপর বাজার সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১১ দশমিক ১৬ পয়েন্ট কমে ১৮ হাজার ২৯৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে। সিএসইতে ১১৪টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ১৯টির, কমেছে ৩৯টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ৫৬টির।
দিন শেষে সিএসইতে ১০ কোটি ৪৭ লাখ ৯০ হাজার ২৪৫ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।