বন্দরে রাজীব হত্যায় স্ত্রীর মামলায় গ্রেপ্তার ৩

নারায়ণগঞ্জের বন্দরে একটি অটো চুরিকে কেন্দ্র করে রাজীব নামে এক যুবককে হত্যার পর দায়ে করা মামলায় তিন জন সন্দেহভাজন হত্যাকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে উপজেলার নবীগঞ্জ সিএনজি স্ট্যান্ড এলাকা থেকে তিন জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

শুক্রবার দুপুরে আটক তিন সন্দেহভাজন হত্যাকারীকে সাত দিনের পুলিশ রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে আদালতে পাঠায় বন্দর থানা পুলিশ।

এর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে একটি অটো রিক্সা চুরিকে কেন্দ্র করে বিচার শালিসে ডেকে নিয়ে গিয়ে প্রতিপক্ষ লোকজনদের ছুরকাঘাথ করে রাজীব হত্যা করে। এই ঘটনায় নিহত রাজিবের স্ত্রী মোসা. ফাতেমা বেগম শুক্রবার সকালে বন্দর থানায় ১১ জনের নাম উল্লেখ করে আরো অজ্ঞাত ১০ জনের বিরুদ্ধে এ হত্যা মামলাটি দায়ের করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, বন্দর উপজেলার ২নং হাজীগঞ্জ কদমতলী এলাকার মৃত চাঁন মিয়ার ছেলে মো. কানু মিয়া, রূপনগর এলাকার মোস্তফা কামালের ছেলে মো. শিমুল এবং নবীগঞ্জ রেললাইন এলাকার বেলাল হোসেনের ছেলে সৌরভ।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মো. তছলিম উদ্দিন জানিয়েছেন, মামলার প্রধান আসামী মো. কানু মিয়া। তার একটি অটো রিক্সা চুরিকে কেন্দ্র করে বন্দরের একটি স্থানীয় ক্লাবে ডেকে নিয়ে গেয়ে রাজীবকে চোর সাব্যস্ত করা হয়। সেকানে বিচার চলার একপর্যায়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিরেক কানুসহ তার সহযোগীরা ধারালো ছুরি দিয়ে উপর্যপুরি আঘাত করে গুরুতর আহত করে রাজীবকে। পরে স্থানীয়রা আহত ও রক্তাক্ত রাজীবকে উদ্ধার করে বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করে।

পুলিশ রিমান্ড আবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গ্রেপ্তার হওয়া তিনজনকে পুলিশ হেফাজতে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা গেলে মামলার প্রকৃত রহস্য উদঘাটনসহ হত্যার কাজে ব্যবহৃত অস্ত্র এবং মামলার অন্য সকল আসামীদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে।

এদিকে ময়না তদন্ত শেষে নিহত রাজীবের মৃতদেহ শুক্রবার দুপুরে তার নিজবাড়ি কাইতাখালি এলাকায় আনা হলে সেখানে উৎসক লোকজন ভীড় জমায়। নিহত রাজীব বন্দর থানার ২৪ নং ওয়ার্ডের কাইতাখালি এলাকার তারা মিয়ার ছেলে।

হত্যা মামলার আসামীরা হলো- বন্দর থানার নবীগঞ্জ কদমতলী এলাকার মৃত চাঁন মিয়ার ছেলে কানু মিয়া (৫০) নবীগঞ্জ রুপনগর এলাকার মহিউদ্দিন ওরফে এমপি ছেলে রাতুল (২৫) নবীগঞ্জ রেললাইন এলাকার রাহুল (২০), নবীগঞ্জ কদমতলী এলাকার ইউসুফ আলী ছেলে সনেট (৩২) একই এলাকার নূর হোসেন মিয়ার ছেলে রানা (৩৯) রুপনগর এলাকার মোস্তফা কামালের ছেলে শিমুল (৩১) নবীগঞ্জ টি-হোসেন রোড এলাকার হাবিবুল্লাহ মিয়ার ছেলে হাসান ওরফে পাকিস্তানী হাসান (৩২) রুপনগর এলাকার আব্দুল বাতেন মিয়ার ছেলে শুভ (২৬) নবীগঞ্জ এলাকার রোমান ড্রাইভারে ছেলে সাব্বির (২০) নবীগঞ্জ উত্তর নোয়াদ্দা এলাকার জামাল মিয়ার ছেলে আমিন ওরফে রঙ্গিলা (২১) ও নবীগঞ্জ রেললাইন বেলাল হোসেনের ছেলে সৌরভ (১৯)।

বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিক জানান, রাজীব হত্যকান্ডের ঘটনায় তার স্ত্রী বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। হত্যাকান্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত সন্দেহভাজন তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষ সংবাদ

ফেসবুকে যুক্ত থাকুন